“মোদি নামের আতঙ্ক এখন গ্রাস করেছে তৃণমূল নেত্রীকে”

হক জাফর ইমাম(মালদা)অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটিয়ে মালদার জনসভা মঞ্চে হাজির হলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।এদিন হেলিকপ্টার থেকে নেমেই গাড়িতে করে সভাস্থলে এসে পৌঁছান। এই দিন মালদার জনসভার মঞ্চে অমিত শাহ তার মূল্যবান ভাষণে তৃণমূলের ব্রিগেডের সভার কড়া জবাব দিয়ে গেলেন।  মোদি নামের আতঙ্ক এখন গ্রাস করেছে তৃণমূল নেত্রীকে । তাই গত ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভায় দেশের কথা না বলে জোটপন্থী নেতাদের আক্রমণের সুর ছিল মোদীর দিকে।  মঙ্গলবার পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নিত্যানন্দপুর এলাকায় বিজেপির জনসভায় একথা বলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ । তাঁর সাফ কথা,  ব্রিগেডের সভায় তৃণমূল সহ যেসব নেতারা উপস্থিত হয়েছিলেন।  তাদের মুখে শোনা যায় নি “ভারত মাতার জয়”,  শোনা যায় নি “বন্দেমাতরম”।‌ শুধু মোদি হটাও স্লোগান । তাতেই বোঝা যাচ্ছে তৃণমূল নেত্রী সহ আর যারা ছিলেন তারা কতটা আতঙ্কিত মোদিকে নিয়ে।
এদিনের জনসভায় অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।   উপস্থিত হয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ,  মুকুল রায় , রাহুল সিনহা,  দলের জেলা সভাপতি সঞ্জিত মিশ্র প্রমূখ। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন,  ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তৃণমূল সরকারকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক খাতে পাঁচ বছরে ১ লক্ষ ৩২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে।  কিন্তু মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরাজ্যের তৃণমূল সরকারকে উন্নয়নের খাতে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দিয়েছে । তারপরেও মোদি হটাও স্লোগান চলছেই ওদের মুখে।  ২০১৯ লোকসভায় বাংলায় বিজেপি তৃণমূলকে উৎখাত করবে । এটা বুঝতে পেরে ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে।  তাই তো জোটবন্ধনের জন্য ছুটে বেড়াচ্ছে । কিন্তু মানুষ মোদীকে চাইছেন।
অমিত শাহ বলেন,  বাংলা খুবই গুরুত্ব রাখে।  বিভিন্ন মনীষীদের নাম এই বাংলার বুকে জড়িয়ে রয়েছে।  বাংলার কৃতি সন্তান নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের নামে আন্দামান দ্বীপের নামকরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  অথচ তৃণমূল সরকারের আমলে বাংলায় অবৈধ অনুপ্রবেশ বেড়েছে ।চোরাচালান বেড়েছে । বেআইনি অস্ত্র – বোমা তৈরির কারখানার গড়  হয়ে গিয়েছে।  গরু পাচার বেড়েছে । সিন্ডিকেট ট্যাক্স আদায় হচ্ছে।  সরকারি কর্মচারীরা অর্ধেক বেতনে চাকরি করছেন । এ রাজ্যে ১২৯ টি কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ । ক্ষমতায় এলে এসব বন্ধ হবে । প্রথম কেবিনেটে সপ্তম পে কমিশন লাগু করার প্রতিশ্রুতি দেন অমিত শাহ।
তিনি আরও বলেন,  বাংলায় এসে যা দেখলাম পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে । এত মানুষের ভিড়।  এত জনজোয়ার তাতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়ে গিয়েছেন।  সেই কারণেই বিজেপিকে সভা করতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।  আমার হেলিকপ্টার নামা নিয়ে কত রকম বাধার সৃষ্টি করেছে তৃণমূল সরকার। বাংলার মানুষ এর বিচার করবে । আপনারাই বামপন্থীদের উৎখাত করেছেন।  এবার সময় এসেছে তৃণমূলকে উৎখাত করার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here