মা কালীই মিলিয়ে দিল দুই বাংলাকে

হক জাফর ইমাম(মালদা) ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের মিলনমেলা । বছরের একটি মাত্র দিন যেদিন দুই দেশের মিলনস্থল দুই দেশের কাঁটাতার । মালদার ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মহুদি পুর গ্রাম।যেখানে সীমা০ন্ত এলাকায় কালী পূজার পরের দিন নিয়ম মেনে প্রতিবছরই কালী পূজা করা হয়। আর এই পুজো কে সামনে রেখেই সীমান্তবর্তী দুই দেশের মানুষরা একে অপরকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ হয়। তাদের মধ্যে মত বিনিময় করে দিন।

যদিও এ বছর এই সীমান্ত এলাকায় খুব অল্প সংখ্যক মানুষকে কাঁটাতার এলাকায় আসতে দেওয়া হয়েছে। আর যারা এদিকে আসতে পারেনি তাদের মধ্যেও দুঃখের ছাপ দেখা গিয়েছে। কালী পূজার পরের দিন প্রতিবছরের মতো এবারও সকাল সকাল হাজির হয়েছিলেন ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ইংলিশ বাজারের মহদিপুরের সীমান্ত এলাকায় বহু মানুষ। দেশের প্রতিটি সীমান্তে এখন ভিনদেশী জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে করা সেনাবাহিনী। মালদা মহদীপুর সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। ফলে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ সীমান্ত এলাকায় আসলে ও সবার সঙ্গে সবার দেখা করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।তবে দূর থেকেই তাদের সঙ্গে দেখা হলেও কেঁদে ভাসালেন একে অপরকে দেখে শুধুমাত্র ফারাক থাকলেও কথা বলা।
 চাঁদের মতো বহু মানুষ এদিন ভিড় করেছিল মধুপুর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। কাঁটাতারের পাশেই চলছে শ্মশান কালী পুজো।আগে এই পুজো হত বেড়ার ওপারে এখন সেই জায়গা বাংলাদেশের মধ্যে পড়ে গিয়েছে ফলে হাজার ১৯ ৯৭সাল থেকে পুজোর স্থান পরিবর্তন হয় পুরোনো জায়গা থেকে কিছুটা দূরে পাগলি নদীর ধারে শ্মশান ভূমিতে এই পুজো তুলে নিয়ে আসেন  দুই পারের বাসিন্দা নাথুরাম ঘোষ ও শশাঙ্ক শেখর মজুমদার।
এ বছর প্রথামেনে কালীপুজো ও পরের দিন গেট খোলা হয় তবে সেখানে অল্প সংখ্যক মানুষকে আসতে দেওয়া হয়েছে।কিন্তু আত্মীয়-পরিজনের অপেক্ষায় জুড়ে দাঁড়িয়েছিল হাজার খানেক এরও বেশি মানুষ।কিন্তু পরিজনদের দেখতে একবার কথা বলতে বেড়ার ধারে হাজির হয়েছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট বালিয়াদীঘি সোনা মসজিদ চাঁদপুর প্রভৃতি গ্রামের অসংখ্য মানুষ। শুধু হিন্দু  নয় ,ইসলাম ধর্মাবলম্বীরাও এদিন সকাল থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন সেখানে।
error: Content is protected !!