মাদক দ্রব্যের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সাসপেন্ড ধর্মনগর থানার এসআই।

প্রতীক নাথ(ধর্মনগর) জিরো টলারেন্স ৷ আর এরই খেসারত হিসেবে আবারও সাসপেন্ড রাজ্য পুলিশের আরেক গুণধর পুলিস অফিসার । মাদক কারবার এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চুরাইবাড়ি থানার এসআই শুক্রমনি দেববর্মা বরখাস্ত হবার পর একই জেলার অন্তর্গত ধর্মনগর থানার সাব ইনস্পেকটর মানিক বরুয়া রবিবার সাসপেন্ড হলেন ।  তাকে সাসপেন্ড করেছেন জেলার এসপি ভানুপদ চক্রবর্তী ৷ মূল ঘটনাক্রম এদিন সকাল থেকে শুরু হয়৷

সকালে গোয়েন্দা দপ্তরের কর্মীরা গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ধর্মনগর গোল্ডেন ভ্যালী স্কুল এলাকা হতে অজিত চাকমা, তার স্ত্রী পুতুলবি চাকমা ও শঙ্কর দত্ত নামে তিনজন কে ৪০ প্যাকেট দেশী মদ সহ আটক করে৷ ধর্মনগর থানায় এখবর পৌঁছানো হয়৷ সেই মোতাবেক থানার সাব ইনস্পেকটর স্বপন সিনহা গিয়ে তাদের সকলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং কোর্টে নিয়ে যাবার জন্য কাগজপত্র প্রস্তুতি শুরু করে । অভিযোগ সেসময়ই পুলিশ অফিসার মানিক বরুয়া থানায় এসে কাউকে কিছু না বলে ধৃত তিন অভিযুক্তকেই জামিন দিয়ে দেয়। এই ঘটনার খবর পান পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি গোয়েন্দা দপ্তরের DSP বিক্রমজিত শুক্লদাসকে থানায় পাঠান এবং ঘটনার তদন্ত করতে বলেন৷  সেই তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী উত্তর জেলার পুলিস সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী এদিন সন্ধ্যায় পুলিশ অফিসার মানিক্  বড়ুয়াকে সাসপেন্ড করেন।

উল্লেখ্য এর আগেও বাম আমলে ধর্মনগর থানায় কর্মরত থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত মানিক বড়ুয়ার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠেছিলএকবার৷ একবার টুকটুক কাণ্ডে ঘুষ নেবার অভিযোগে তাকে শাস্তি হিসাবে পুলিস সুপারের অফিসে স্থানান্তর করা হয়৷ কিন্তু কোন কাজ হয়নি। ফের ধর্মনগর থানায় তাকে পাঠানো হয়৷ বিশেষ করে বাম আমলে বাম নেতাদের পদলেহন করাসহ বিভিন্ন দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার ফলে ক্রমশই ফুলে কেঁপে উঠেছিল এই গুণধর পুলিশ অফিসার ৷ সূত্রে খবর তাকে জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকদের তরফে বরাবরই নজরে রাখা হচ্ছিল৷ শেষ পর্যন্ত রবিবার তার কৃতকর্মের ফল তাকে সাসপেন্ড হতে হলো৷

error: Content is protected !!