পিতৃতর্পণে মানুষের ঢল নামলো রায়গঞ্জের কুলিশ নদীতে

গৌতম পাল(রায়গঞ্জ) ” তর্পন কথাটির অর্থ তৃপ্তি “। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মহালয়ার শুভক্ষনে পরলোকগত আত্মারা একত্রে উপস্থিত হন। মহালয়ার চোদ্দ দিন আগে থেকে শুরু হয় পিতৃপক্ষ। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের শেষদিন, একরয়ই শুরু দেবীপক্ষ। পিতৃপক্ষের শেষদিন অর্থাৎ মহালয়ার পূন্যলগ্নে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে বেশীরভাগ মানুষ জলদান করে থাকেন স্বর্গীয়দের আত্মার শান্তি কামনায়। মহালয়ার সকালে রায়গঞ্জের কুলিশ নদীর খরমুজাঘাটে ও বন্ধরঘাটে এদিন বহু মানুষের তিল জলদানের মাধ্যমে তর্পন করলেন তাদের পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে।

তর্পন করতে আসা তাপস মৈত্র ও সুব্রত দাস জানিয়েছেন, প্রতিবারেই আমি এখানে পুর্বপুরুষের আত্মাশান্তির জন্য তর্পন করে থাকি। আমাদের ধর্মে  যে নিয়ম নিতি অনুযায়ী হয়ে থাকে প্রতিবার মহালয়ার পূর্নরিথি লগ্নে আমরা এখানে আসি। পুর্বপুরুষদের আত্মাশান্তির জন্যই আমরা এটা করে থাকি।  অন্যদিকে ঘাটে আসা পুরোহিত অনুপম চক্রবর্তী জানিয়েছেন, মহালয়ের পূর্ন লগ্নে পিতৃ তর্পন সবাই করছে ভোর থেকে। যারা এটা করে থাকে তাদের পূর্নলাভ হয় বলে জানান তিনি।পাশাপাশি তর্পণ উপলক্ষে রায়গঞ্জের ঘাটগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিলো।

error: Content is protected !!