দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনে নোটবন্দি একটি সফল পদক্ষেপঃ অর্থমন্ত্রী

ওয়েব ডেস্কঃ  অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পুনর্গঠনে নোটবন্দি একটি সফল পদক্ষেপ । এর ফলে ৯৯% টাকা ফেরত আসলেও , মানুষ ট্যাক্স ব্যবস্থার উপর ভরসা রেখে ব্যাংকে অর্থ জমা দিয়েছেন।  জনধন অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দেশের গরিব মানুষদের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মধ্যে আনা  গেছে । ট্যাক্স আদায়ের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি আনার ফলে, মানুষের ট্যাক্স সিস্টেম অনেক সরলীকৃত হয়েছে। ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ইউপিআই প্রযুক্তি নিয়ে আসায় , ডিজিটাল লেনদেনের প্রভাব বাড়ছে। যার ফলে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে স্বচ্ছতা বাড়ছে।” পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ” আধার আইনের জন্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা গ্রামের মানুষদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে।”

ট্যাক্স আদায়ের সরলীকরণে সরকারের পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে জানান,” পূর্বে ট্যাক্স সিস্টেমের জটিলতার জন্য সাধারণ মানুষ সরকারকে ট্যাক্স দিতে বিমুখ ছিল কিন্তু জিএসটি ট্যাক্স সিস্টেম নিয়ে আসায় অনলাইন ট্যাক্স জমা দেওয়ার সুযোগ এসেছে। যার ফলে প্রতি বছর ট্যাক্স দেওয়ার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।” নোটবন্দী নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে আখ্যা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি।

২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ভ্রষ্টাচার মুক্ত নতুন ভারত গঠনের প্রতিশুতি দেন । মোদীর  প্রধান লক্ষ্য ছিল বিদেশে থাকা কালো টাকা ও সম্পত্তি ফিরিয়ে আনা এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো পুনর্গঠন করা। সরকারের এই লক্ষ্যের প্রথম পদক্ষেপ ছিল নোটবন্দী,  জিএসটি ট্যাক্স ও ফিউজিটিভ অফেন্ডার্স বিল।

২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর রাত ৮টায় সময় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে ওই দিন রাত ১২টার পর  ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল বলে গন্য করা হবে।  সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে বিরোধী দলগুলি । সরকারের সমলোচনায় মুখর হয়েছিলেন একাংশ অর্থনীতিবিদ ।

সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর দেশে ক্ষণস্থায়ী অর্থনৈতিক বনধ এবং মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। সেই সময়  কিছু ব্যাংককর্মী কর্মরত অবস্থায় এবং কয়েকজন সাধারণ মানুষ ব্যাংকের লাইনে অসুস্থ হয়ে মারা যান।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং নোটবন্দির দিনটিকে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার অবক্ষয়ের সূচনা আখ্যা দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ দেশের জন্য দুৰ্ভাগ্যজনক।

error: Content is protected !!