দশমীতে বিসর্জন নয় মায়ের বোধনের আনন্দে মেতে ওঠে এই গ্রাম

গৌতম পাল(রায়গঞ্জ) দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া ঠিক উলটো চিত্র ধরা পরল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ শহর থেকে অনতিদূরেই  খাদিমপুর  গ্রামে । দশমীতেই শুরু এখানকার দূর্গাপুজা। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও।

রায়গঞ্জ থানার ১৪ নং কমলাবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে । তবে এখানে দেবী দূর্গাকে ” বালাইচন্ডী ” রূপে পুজা করা হয়ে থাকে । এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভুজা ।  চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর । তবে অন্যান্য দূর্গামন্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক গনেশ, লক্ষী সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই।  খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন জানালেন, কত বছরের পুরানো এই পুজো তা কেউই বলতে পারেনা। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় এখান বালাইচন্ডীরূপী দেবী দূর্গার পুজা। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে তিনদিন। পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দূর্গাপুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দূর্গাপুজোয় চলে আসছে বলী প্রথা। এখানকার  বালাইচন্ডীরূপী দেবী দূর্গা খুবই জাগ্রত মেনে বহূ দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রামে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছে।

error: Content is protected !!