হক জাফর ইমাম(মালদা) লক্ষ্মী লাভের আশায় ঘরে ঘরে পূজিত হবেন মা লক্ষ্মী। কিন্তু লক্ষী পূজোর বাজার করতে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির ফলে নাভিশ্বাস উঠলো ক্রেতাদের । মঙ্গলবার ও বুধবার বাঙালির প্রায় প্রতিটি ঘরেই পুজো পেতে চলেছেন ধনলক্ষ্মী ৷ অবশ্য এই বাজারে ঘরের ধন কতটা থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে ৷ মঙ্গলবার মালদা শহরের দুটি বড়ো বাজার নেতাজি ও চিত্তরঞ্জন পৌর বাজার ঘুরে দেখা গেল দমকলের ইঞ্জিন না থাকলেও বাজার সত্যিই আগুনময় ৷ দুর্গাপুজোর সময়ও যে আপেল ছিল ৬০-৭০ টাকা কিলো, আজ তা ১০০ ছুঁইছুঁই ৷ মৌসুম্বি লেবু ৬০-৮০ টাকা, শাঁকালু কিংবা রাঙা আলু, দুটোই বিকোচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে ৷ পেয়ারা ৬০-৭০, শশা ৫০-৬০, এমনকি পানিফলের দাম ৬৫-৭৫ টাকা কেজি৷ সদ্য গোল আকার নেওয়া বাতাপি লেবু এক-একটি ২০ টাকা ৷ নারকেলের দর প্রতিটি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ৷ ফলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাঁচা সবজির দরও৷ তবে মাথায় হাত পড়বে ফুল কিনতে গেলে ৷ গাঁদাফুল বিকোচ্ছে ১০০০ টাকা কেজি দরে ৷ জবাফুলের দাম তার অর্ধেক ৷ প্রতি কেজি ৫০০ টাকা ৷ আর লক্ষ্মীপুজোয় পদ্ম অবশ্যই দরকার, আজ বাজারে হিমঘরের কালো পদ্মের দাম প্রতিটি ১৫-২০ টাকা । দাম আরও বাড়বে বলে জানাচ্ছেন বিক্রেতারা৷