জানেন কি আজও বেঁচে আছেন হনুমান!

রামের ভক্ত ছিলেন হনুমান। তিনি হিন্দু ধর্মের অন্যতম জনপ্রিয় দেবতাও বটে। তাঁর ওপর অগাধ ভরসা রাখেন লক্ষ লক্ষ ভক্ত। দেশ জুড়ে তাঁর মন্দির রয়েছে। সেখানে নিয়মিত যান বহু মানুষ। তবে অনেকেই বিশ্বাস করেন যে তিনি আজও জীবিত আছেন। কারণ তাঁর মৃত্যুর কোনও প্রমাণ নাকি পাওয়া যায়নি।

তাঁর বেঁচে থাকার বেশকিছু প্রমাণও রয়েছে। হিন্দু মাইথলজি অনুযায়ী, তিনি অমরত্ব লাভ করেছিলেন। শোনা যায়, ‌যতদিন রামভক্তদের মুখে রামের নাম থাকবে, ততদিনই তিনি বেঁচে থাকবেন। আমরা হিন্দু পুরাণে ভগবান বিষ্ণু, ভগবান রামের পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার কাহিনি শুনেছি। অথচ ভক্ত হুনুমানজী প্রসঙ্গে এমন কোনও বর্ণনাই নেই। পৃথিবীতে ৮ অমর চরিত্রের মধ্য অন্যতম তিনি, এমনটাই জানা গিয়েছে।

হিন্দু পুরাণে বলা হয়েছে ‍’রামায়ণের‍’ কাহিনী বা ঘটনা ঘটেছিল ত্রেতা ‌যুগে। ‍’মহাভারতের‍’ ঘটনা ঘটেছিল দ্বাপর ‌যুগে। এমনকী কলি ‌যুগেও হনুমানজীর বর্ণনা পাওয়া ‌যায়। ১৬০০ সালে তুলসীদাসকে হিন্দিতে রামায়ণের কাহিনী লিখতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন স্বয়ং হুনুমানজী। এরপর রামদাস স্বামী, রাঘবেন্দ্র স্বামী, স্বামী রামদাস, শ্রী সত্য সাঁই বাবা এরাঁ সকলেই হুনুমানজীর দর্শন লাভ করেছেন বলে দাবি করেন। তাই রাম ভক্ত হনুমান ‌যে সব ‌যুগেই রয়েছেন সেটা প্রমাণিত।

আরও শোনা যায়, তিনি হিমালয় পর্বত সংলগ্ন বিভিন্ন জঙ্গলে এখনও ঘুরে বেড়ান। ‌যে কোনও হুনুমান মন্দিরের সামনে সবসময় হুনুমান দেখতে পাবেনই পাবেন, ‌যেটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার বলেই মনে করা হয়।

কথিত আছে ‍’কালতন্তু কারেচরণাতী, এনার মরিশনু , নিরমুক্তার কালেতুম অমর ঋষিণু।’ এই মন্ত্রটি নিষ্ঠার সঙ্গে উচ্চারণ করলে হুনুমাণজীর অস্তিত্ব অনুভব করা ‌যায়। বলা হয় এই মন্ত্র ‌যে পড়বে তাঁর আত্মা সবকিছু ছেড়ে হুনুমানজীর সঙ্গে সং‌যুক্ত হবে। আর ‌যে পড়বে তাঁর আশেপাশে ৯৮০ মিটার প‌র্যন্ত এমন কেউ ‌যেন না থাকে ‌যে এই সং‌যুক্তীকরণে বাধা সৃষ্টি করবে।

শ্রীলঙ্কার একটি জঙ্গলের কিছু বাসিন্দাদের হনুমানজী নাকি বলেছিলেন প্রত্যেক ৪১ বছর পর তিনি সেখানে ফিরে আসবেন। তখনই তাঁর অস্তিত্ব সকলে বুঝতে পারবেন। এখনও শ্রীলঙ্কা জঙ্গলের ওই বাসিন্দাদের অস্তিত্ব এখনও আছে বলে জানা গিয়েছে।

২০১৪ সালে ওই জাতির শ্রীলঙ্কার জঙ্গলে হুনুমানজীর পুজো করার প্রমাণ মিলেছে বলে শোনা গিয়েছে। এই বাসিন্দারা নাকি এখনও নাগরিক সভ্যতা থেকে অনেক দূরে জঙ্গলেই বাস করেন। ভারতেরও বেশকিছু হুনুমান মন্দিরের বাইরে হনুমানজীর পদচিহ্ন মিলেছে বলে শোনা যায়।

error: Content is protected !!