চাঞ্চল্যকর অভিযোগ গাজোল থানার বিরুদ্ধে৷

 হক জাফর ইমাম(মালদা) খুন হয়ে যাওয়া ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ নিতে অস্বীকারের অভিযোগ উঠলো মালদা গাজোল থানার পুলিশের বিরুদ্ধে ৷ শনিবার নিহতের স্ত্রী পুলিশ সুপারের দপ্তরে নিজের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং আরও অভিযোগ করেছেন এই ঘটনায় রয়েছে শাসক দলের চাপ ৷

গত ১ নভেম্বর মালদা গাজোল থানার রাজারামচক গ্রামে জমি বিবাদের জেরে আত্মীয়দের হাতে খুন হয়ে যান আবদুল কায়ুম (৬৩) ৷ তাঁর স্ত্রী নার্গিস খাতুনের অভিযোগ, ৮ জন মিলে তাঁর স্বামীকে খুন করেছিল৷ কিন্তু সেই ঘটনায় মালদা গাজোল থানার পুলিশ তাঁদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করছে৷ অভিযোগের রিসিভ কপি দেওয়া হচ্ছে না ৷

মৃত আবদুল কায়ুমের মেয়ে নাসরত বানু বলেন, আদালতের রায়ে বিতর্কিত জমিটি এখন তাঁরা ভোগদখল করছেন ৷ ওই জমি বাবদ আসামীরা তাঁদের কাছে কিছু টাকা পেত ৷ ঘটনার দিন আসামীরা তাঁদের বাড়িতে প্রথমে টাকা চাইতে যায়৷ তাঁর ছোটো বোন জানিয়ে দেয়, ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সেদিন সন্ধেতেই সেই টাকা তাদের দিয়ে দেওয়া হবে ৷ তখনই আসামীরা তাঁর বাবাকে ঘর থেকে বের করে বেধড়ক মারধর শুরু করে ৷ আহত বাবাকে তাঁরা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে তারা আবার তাঁদের উপর হামলা চালায়৷

প্রকাশ্য তারা জানিয়ে দিয়েছে, তারা তাঁদের সবাইকে মেরে ফেলবে ৷ এই ঘটনায় পুলিশই তাঁদের ৪-৫ দিন পরে থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে বলে৷ এখন পুলিশ তাঁদের বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অভিযোগ রিসিভ করা হবে৷ তাঁরা বুঝতে পারছেন না, অভিযোগ নেওয়ার সঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের কী যোগ রয়েছে ৷

তাই শনিবার তাঁরা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন ৷ তাঁরা এবং আসামীরা তৃণমূল করেন৷ তাঁর ধারনা, রাজনৈতিক চাপেই মালদা গাজোল থানার পুলিশ তাঁদের অভিযোগপত্র জমা নিতে অস্বীকার করছে ৷ একই বক্তব্য কায়ুম সাহেবের ছেলে আসিফ মিরাজেরও ৷ ঘটনার ব্যাপারে মালদা গাজোল থানার পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি৷

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here