চলে গিয়েও যেন ফিরে এলো কাছে

বিশ্বেশ্বর মজুমদার(শান্তিরবাজার) মেয়ের মৃত্যুর পর সবার মধ্যে নিজের ছোট রুপালে মনে করতে তার জন্মদিন পালন করলেন বাবা-মা।  শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত ব্লক সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা স্বপ্নন দাসের মেয়ে রুপা দাসের সাথে বিয়ে হয় আগতলার মলয় নগরের বাসিন্দা নিউটন বণিকের সাথে বিয়ে দেন। কিন্তু বিয়ের ৫৫দিন পরেই লোকজনের অনুপস্থিতে শ্বশুর বাড়িতে আত্মহত্যা করেন রুপা।

 তার মা বাবার অভিযোগ শ্বশুর বাড়ির লোকজন কাওকে না জানিয়ে রুপার মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যায়।  এটা হত্যা না আত্মহত্যা এই নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। মেয়েটির বয়স আঠারো না হওয়াতে , তারা পুলিশের কাছে তদন্তের আবেদন করতে ভয় পেয়েছিলো।  মৃত্যুর ৩৩দিন পর বৃহস্পতিবার ছিলো রুপার ১৭তম জন্মদিন।  মৃত্যু হলেও তাদের কাছে রুপা জীবিত। তাই তারা রুপার জন্মদিন পালনের উদ্যোগ নেয়। শৈশবে রুপা যে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতো সেখানে তার মা বাবা আজ মিষ্টি বিতরণ করেন। মেয়ে হারানোর যন্ত্রণা মা-বাবার থেকে কেউ বেশী বুঝতে পারবেনা।  তাই জন্মদিনের দিন ছোট ছোট ছেলে মেয়ের মুখে মিষ্টি দিয়ে তাদের মধ্যেই রুপাকে স্বরন করলো তার বাবা-মা।

error: Content is protected !!