উদ্ধার হলো গুড্ডুর দেহ, শোকের ছায়া এলাকাজুড়ে

অর্পণ দে(আগরতলা)  মহাঅষ্ঠমীর আনন্দে যখন আনন্দে মাতোয়ারা রাজ্যবাসী ঠিক সেই সময় তেলুয়ামুড়ার দাস পরিবারে শোনা গেলো বিষাদের সুর । বুধবার দুপুরে  আড়ালিয়া থেকে নিখোঁজ শিশু গুড্ডু ঋষি দাসের নিথর দেহ উদ্ধার হলো দশমীঘাট থেকে। সকাল থেকে এন ডি আর এফের উদ্ধারকারী দল দশমীঘাট এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছিলো। সেই সময় নদীর সাইডে একটি বাঁধের পাশে শিশুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন তারা। ৩ বছরের গুড্ডু ঋষি দাসের বাড়ি তেলিয়ামুড়ায়। পুজো উপলক্ষে ষষ্ঠীর দিন সকালে পরিবারের সঙ্গে আগরতলায় মামাবাড়ি এসেছিলো সে।  রাজধানীর আড়ালিয়াতে তার মামাবাড়ি। মামাবাড়িতে আসার পর দুপুরে সে দাদুর সঙ্গে আড়ালিয়া ব্রিজের সামনে হাওড়া নদীতে মাছ ধরতে যায়। ঠিক সেই সময় ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আচমকাই হাওড়া নদীর জলে পড়ে যায় ছোট্ট গুড্ডু। খবর পেয়েই সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ বাহিনী সহ অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের আধিকারিক সহ কর্মীরা। নৌকা নিয়ে শুরু হয় জোর তল্লাশি। কিন্তু তল্লাশির পরেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি। মঙ্গলবারও সারাদিন ধরে তল্লাশি চালানো হয় হাওড়া নদীতে। বুধবার সকালে এন ডি আর এফের টিম শিশুটির খোঁজে তল্লাশি চালায়। দশমী ঘাট অঞ্চলে তল্লাশি চালানোর সময় নদীর সাইডে একটি বাঁধের পাশে একটি শিশুটির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার ডিসিএম অফিস থেকে খবর দেওয়ার পর এন ডি আর টিম শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহন করে। তিনদিন ধরে আমরা শিশুটিকে উদ্ধারের জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু শিশুটির কোন খোঁজ পাইনি। বুধবার সকাল থেকে তল্লাশি চালানোর সময় ঘটনাস্থল থেকে ৭ কিলোমিটারের মধ্যেই শিশুটির দেহের সন্ধান পাওয়া যায়। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনটাই জানিয়েছন ফাস্ট  ব্যাটেলিয়ান এন ডি আর এফ গৌহাটি এর ইনস্পেক্টর রনবিজয় সিং। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকা জুড়ে। বাক্রুদ্ধ হয়ে পড়েছেন শিশুটির বাবা-মা সহ গোটা পরিবার।

error: Content is protected !!