ইচ্ছে থাকলেই সাফল্যের চাবিকাঠি ঠিকই খুঁজে পাওয়া যায়।

সৃষ্টি সরকারঃ দক্ষিণ কোলকাতা শহরে এক নামকরা বুটিক প্রমান করে দেখালো ‘ইচ্ছে থাকলেই সাফল্যের চাবিকাঠি ঠিকই খুঁজে পাওয়া যায়’। বুটিকের নাম – বঙ্গনারী বুটিক। এই বুটিকের মালকিন মৌমিতা সাহা। এই বুটিক-টি মূলত মহিলা কেন্দ্রীক। এই বুটিক-টি গত এক বছর ধরে সম্পুর্ন মহিলাদের দ্বারাই চালিত হচ্ছে। তাঁরা মনে করেন, জগতে এমন কোনো কাজ নেই যেটা মহিলারা পারেন না । তারা এই বছরের প্রারম্ভে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসের 20 তারিখে ন্যাশনাল একটি সংস্থা থেকে বেস্ট ট্রেডিশনাল শাড়ি সেলিং-এর জন্য ‘ইন্ডিয়া অ্যাচিভার্স অ্যাওয়ার্ড’ পুরস্কারে সন্মানিত হন। ব্যাঙ্গালোরে বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা স্বয়ং তাদের পুরস্কৃত করেন।

বুটিক কর্তী মৌমিতা সাহা তার বুটিকের প্রোডাক্টের জন্য সমস্ত বয়সী মহিলাদের নিয়োগ করেছেন। তাঁর বুটিকে মহিলাদের হাতে তৈরি নানা ধরনের শাড়ি, কূর্তি, চুড়িদার, নাইটি থেকে শুরু করে হাতে তৈরী বিভিন্ন রকমের গয়না, নতুনত্ব আধুনিক ডিজাইন-‌এর ব্যাগ, ইত্যাদি রয়েছে।

মৌমিতা দেবী জীবনের প্রথমে একজন এইচ.‌আর প্রফেশনাল হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তাঁর বরাবর‌ই শখ ছিল নিজেকে সবার সামনে একজন সফল নারী হিসেবে প্রমান করা। তাই চাকরির পাশাপাশি তিনি নিজে হাতে জেল ক্যান্ডল বানিয়ে বিক্রী করতেন। তিনি নিজে একজন সম্ভ্রান্ত ডাক্তার পরিবারের মেয়ে হয়েও নিজে সবসময় স্বরোজগেরে ও স্বাধীনচেতা হয়েই বাঁচতে চান। অবশ্য তার এই স্বাধীন চিন্তা ভাবনার পিছনে তাঁর স্বামীর অবদান অসীম।
তিনি মৌমিতা দেবী-কে উৎসাহিত করেন এই বুটিকের উত্থাপন-‌এর জন্য। মৌমিতা দেবীর পাশাপাশি তিনিও মনে করেন মহিলাদের নিজস্ব পরিচিতি তৈরী করার জন্য মহিলাদের স্বরোজগেরে হ‌ওয়া উচিত।

ন্যাশনাল থেকে পুরষ্কারে সন্মানিত হয়ে মৌমিতা দেবী এবং তার মহিলা বাহিনী যথেষ্ট আশাবাদী তাদের সৃষ্টি শিল্প নিয়ে। তাঁরা মনে করেন ভবিষ্যতে শুধু ন্যাশনাল থেকে নয় ইন্টারন্যাশনাল থেকেও তাঁরা তাঁদের কাজের জন্য আর‌ও খ্যাতি অর্জন করবেন। তাঁদের কাজ দেশে বিদেশে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে।

error: Content is protected !!