অসম ও মেঘালয় এবার আরো কাছাকাছি

অসমঃ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অসম ও মেঘালয় আরো কাছাকাছি। ব্রহ্মপুত্র নদীর উপর ভারতের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণের কাজটি শীঘ্রই শুরু হতে পারে।  কারণ ধুবরি জেলা প্রশাসন রাস্তা নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ধূবরি-ফুলবাড়ী সেতুটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে।

এই সেতুটি ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত অসমের ধূবরি শহরে, আংশিকভাবে আসাম (দক্ষিণ সালমার-মানকচেলার জেলা) থেকে  মেঘালয়ের পশ্চিম গারো পাহাড়ের ছোট শহর ফুলবাড়ির সংযোগ স্থাপন করবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ধূবরি থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আশা করা হচ্ছে যে এই সেতুটি এক ঘন্টার মধ্যে অসম ও মেঘালয়ের মধ্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করবে। বর্তমানে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে নদীপথে নৌকায় ৫ থেকে ৬ ঘন্টা সময় লাগে । এনএইচ ১২৭বি জাতীয় সড়কের ক্ষেত্রে ব্রহ্মপুত্র নদীর ক্রসিংয়ে ২০ কিলোমিটার সেতুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতে পারে।

বর্তমানে, এখানে ব্রহ্মপুত্র নদী বরাবর, লোকজন ও হালকা মালপত্র পরিবহনের জন্য ছোট যান্ত্রিক নৌকা ব্যবহার করা হচ্ছে।

অসমের শ্রীরামপুর থেকে শুরু হওয়া ৩৭১ কিলোমিটার উত্তরে জাতীয় সড়ক এনএইচ ১২৭বি   মেঘালয়ের নংস্টাইন পর্যন্ত বিস্তিত। ব্রহ্মপুত্র নদী পার হওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থাটি এখনো তৈরী হয়নি। ৪০০০ কোটি টাকারও বেশি দামে চার লেন সেতু নির্মাণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে, যেটি ২০২৬-২৭ সাল নাগাদ শেষ হবে।

ধুবড়ি জেলার উপ-বিভাগীয় কর্মকর্তা (সদর), এইচপি রাজকুমার বলেন, ২ কিলোমিটার ছাড়া জমি জরিপের কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এসডিও জানায়, “২ কিলোমিটার অঞ্চলে বিতর্কের কারণ এই অঞ্চলে খাস জমি ও পট্ট জমি রয়েছে এবং ভূমি অধিগ্রহণের পুরো কাজটি আসাম রাইট টু ফেয়ার ক্ষতিপূরণ আইন অনুযায়ী হচ্ছে।”

এখানে উল্লেখ বিষয় যে, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা), জাপানী তহবিল সংস্থা, নর্থ ইস্ট রোড নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের ফেজ নং ৩ এর অধীনে এই সেতু নির্মাণে ২৫.৪৮৩ বিলিয়ন ইয়েন পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করেছে, যেখানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) পুরো কাজটি পরিচালনা করছে

error: Content is protected !!