রাজ্যে ফের পৈচাশিক আক্রমনের শিকার ছয় বছরের এক শিশু কন্যা

কিষান কুমার মালি(কদমতলা,ত্রিপুরা) রাজ্যে ফের পৈচাশিক আক্রমনের শিকার ছয় বছরের এক শিশু কন্যা। বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি শিশু কন্যার মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল কদমতলা থানার বাঙাল জুম এলাকায়। মৃত শিশু কন্যাটির নাম শোনা মনি তাঁতি (৬) । বাড়ি বাঙালজুম এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে টিএসআর সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ৃত শিশুকন্যার পিতা ও দাদু জানিয়েছেন যে, তারা আগে আমাসের বইটাখাল চাবাগান এলাকায় থাকতেন। সম্প্রতি তারা বাঙাল জুম এলাকায় নতুন বাড়ি তৈরি করে সেখানে থাকতে শুরু করেন। এবং মেয়েটির পিতা স্থানীয় একটি চা বাগানে কাজ করেন। ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে ওই মেয়েটি নিখোঁজ ছিলো। অনেক খোঁজাখুঁজির পর মেয়েকে উদ্ধার করতে না পেরে বুধবার কদমতলা থানায় মেয়ের নামে নিখোঁজ ডাইরি করেন তাঁর বাবা। এদিকে সোমবার থেকেই নিখোঁজ ছিলো সঞ্জু তাঁতি নামে এলাকার এক যুবক। ২৪ সেপ্টেম্বর বাড়িতে ওই শিশু কন্যাটি একা ছিলো। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করে খুন করে বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মেয়েটির পরিবারের লোকেরা। বৃহস্পতিবার মেয়েটির দেহ উদ্ধার করার পর কদমতলা থানার ওসি পার্থ চক্রবর্তী কদমতলা ধর্মনগর রোডের একটি অটো থেকে অভিযুক্ত সঞ্জু তাঁতিকে গ্রেফতার করে।

সংবাদ মাধ্যমের কাছে কদমতলা থানার ওসি পার্থ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিল ওই মেয়েটি। মেয়েকে খুঁজতে তার বাবা আসামের বইটা খালের বাড়িতে গিয়েছিল। কিন্তু সেখানে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে বুধবার কদমতলা থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন তার বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই মেয়েটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেয় পুলিশ। সেই রাতে রাতেই পুলিশ কর্মীরা অনেক খোঁজাখুঁজি করলেও মেয়েটির কোন খোঁজ পাননি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করার জন্য খোঁজখবর শুরু করেন কদমতলা থানার ওসি পার্থ চক্রবর্তী সহ অনান্য পুলিশ আধিকারিকরা । কিন্তু তার কোন খোঁজ পায়নি পুলিশ। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহেশপুর চা বাগানের এক শ্রমিক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে পচা গলা মৃতদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কদমতলা থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশবাহিনী ও টিএসআর। মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কদমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কদমতলা থানার পুলিশ।

বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে থাকায় অভিযুক্ত সঞ্জু তাঁতিকে ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। অভিযুক্তের ফাঁসি দাবীতে বিক্ষোভ দেখান এলাকার বাসিন্দারা। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

error: Content is protected !!