দীপঙ্কর দেবনাথ(মোহনপুর) পুজো শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়ল মোহনপুরের পুজো মন্ডপগুলিতে। বাঙালীর বারো মাসে তেরো পার্বণের এই দৃশ্য বিগত বছর গুলিতে কখনও নজরে পড়েনি। শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথের ভাষায়, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়তে একাংশ ক্লাব গুলি রাজ্য সরকারের পাশে এগিয়ে এসেছে। তাই এবারে রাজ্যে পুজোর মেজাজ টা একটু অন্যরকমের।
রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন পুজো মন্ডপগুলিকে রীতিমত টেক্কা দিয়েছে মোহনপুরের বড় বাজেটের পুজো গুলি। পঞ্চমীর সন্ধ্যে থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় উপচে পড়েছে পুজো মন্ডপ গুলিতে। এ যেন বাঙালীর পীঠস্থান পশ্চিমবঙ্গের বড় গ্রাম এবং শহরের নানান চিত্র। এই দৃশ্য এবার দেখা গেছে মোহনপুরেও।
পঞ্চমীর রাতে মোহনপুর বাজারের ব্রেইভ ক্লাবের পুজোর শুভ উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ। ডাকবার্তা ডট কমের প্রতিনিধিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, পুজোর পাশাপাশি ক্লাবগুলি রক্তদান শিবিরের পাশাপাশি গরীবদের পাশে থেকে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আগামীদিনে ক্লাব গুলিকে আরও সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। তাহলেই আমরা এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলতে পারবো। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রী আরও বলেন, পুজোয় আনন্দ করুন। কিন্তু আপনার আনন্দ যাতে অন্যের নিরানন্দের কারন না হয়ে ওঠে সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন।
ব্রেইভ ক্লাবের পুজোতে এবারের থিম ‘মা’। অর্থাৎ একটি মেয়ের বাল্যকাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত সমাজ তাকে নিয়ে যে আচরন করে সেটাই এবার ফুটে উঠেছে তাদের পুজো মন্ডপে। এই থিম দেখে আনন্দিত এবং আপ্লুত হয়ে পড়েন শিক্ষামন্ত্রী। থিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখনো অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সমাজে নারীরা বঞ্চিত। নারীদের সম্মান দেওয়া প্রত্যেকের দরকার।