‘যেও না নবমী নিশি ! আনন্দের মাঝেই যেন বিষাদের সুর

ডাকবার্তা কলকাতা ডেস্কঃ ‘যেও না নবমী নিশি, আজি লয়ে তারাদলে।’ এটাই আপামর বাঙালির মনের কথা। নবমীর দিন এলেই মন কেঁদে ওঠে বাঙালির। মাঝে আর মাত্র কয়েকটা ঘন্টার অপেক্ষা। তারপরেই বিজয়া দশমী। কৈলাসে ফিরে যাবেন মা। তাই নবমীর আনন্দের মাঝেও মন খারাপ বাঙালীর। আবার যে প্রতীক্ষার একটা বছর। মা আসবেন আবার এক বছর পর।

পুজোর দিনগুলো যে কবে আসবে তার জন্য প্রহর গুনতে শুরু করে সবাই। কিন্তু পুজো এসে যে কবে তা চলে যায় সেটা যেন বোঝাই যায়না। তাই পুজোর শেষদিনের আনন্দ চেটেপুটে নিতে নবমীর সকাল থেকেই শহরের রাজপথে জনঢল নেমেছে মানুষের। রাত যত বাড়ছে ভিড় ততই বাড়ছে উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিনের পুজো মন্ডপ গুলিতে। মহালয়ের পরের দিন থেকেই পুজো শুরু হয়ে জাত বাঙালীর। শুরু হয় রাত জাগা। ষষ্ঠী, সপ্তমী বা অষ্টমীর রাত জাগার ক্লান্তি শরীরে লেগে আছে কিন্তু তাতে কুছ পরোয়া নেহি। তাই নবমীর রাতে জনসমুদ্র নেমেছে শহরে।

 রাত যত বাড়ছে ততই ঠাকুর দেখার লাইন লম্বা হচ্ছে উত্তর কলকাতার বাগবাজার সার্বজনীন,টালা পার্ক প্রত্যয়,কাশিবোস লেন,কুমারটুলি পার্ক থেকে শুরু করে  মধ্য কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মন্ডপ গুলিতে। পিছিয়ে নেই দক্ষিন কলকাতাও। যতই রাজ্যের চার মন্ত্রীর মধ্যে পুজো আর উৎসব নিয়ে বাকযুদ্ধ থাকুক না কেনো নবমীর রাতে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে একডালিয়া এভারগ্রীন,চেতলা অগ্রনী,নাকতলা উদয়ন সংঘ,সুরচি সংঘ থেকে শুরু করে দক্ষিনের অনান্য পুজো মন্ডপ গুলিতে।

নবমীর রাত যে পুজোর বাকি দিন গুলির রেকর্ড ভেঙ্গে দেবে তা মানুষের ভিড় দেখেই স্পষ্ট। কিন্তু বাঙালী যতই আনন্দ করুক না কেন তাদের মনের কোন এক জায়গায় বাঁধছে বিষাদের সুর। মন না চাইলেও মা কে বিদায় জানাতে হবে। তাই সবার মনে এখন একটাই কথা, ‘আবার এসো মা’।

error: Content is protected !!