দারিদ্রতার অন্ধকারের অতল গহ্বরে সরা শিল্পীরা

গৌতম পাল(রায়গঞ্জ) দিনরাত পরিশ্রম করে ফুটিয়ে তুলছেন লক্ষীর চিত্র,  কিন্তু পাচ্ছেন না ন্যায্য দাম । চল্লিশ বছর ধরে মৃৎশিল্পীর কাজ করলেও আজও মেলেনি কোনও সরকারি অনুদান বা শিল্পী ভাতা। এই কাজে যুক্ত হতে চাইছেনা পরবর্তী প্রজন্মও । ফলে আজও দারিদ্রতার অন্ধকারের অতল গহ্বরে ডুবে রয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ সুভাষগঞ্জের পালপাড়ার সরা শিল্পীরা।

 কোজাগরী লক্ষীপুজোর  আগ মুহূর্তে রায়গঞ্জের সুভাষগঞ্জের পালপাড়ার সরা শিল্পীরা নাওয়া খাওয়া ভুলে মাটির তৈরি সরাতে পাঁচ লক্ষী, তিন লক্ষী, লক্ষী নারায়ন ও মা লক্ষীর ছবি এঁকে চলেছেন । দিনরাত পরিশ্রম করে এক একটি সরা প্রতিমা বিক্রি হবে ত্রিশ থেকে চল্লিশ টাকায়। ফলে লাভের লাভ কিছুই থাকেনা বলে আক্ষেপ রায়গঞ্জ সুভাষগঞ্জ পালপাড়ার সরা শিল্পী প্রফুল্ল পাল ও অনিতা পালদের । দূর্গাপুজোর সময় থেকে শুরু হয় লক্ষীর সরা প্রতিমা তৈরির কাজ। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে কাজ । কীভাবে দূর্গাপুজো চলে যায় বুঝতেও পারেননা তারা । শুধু লক্ষীর সরা নির্মান করাই নয়, সেগুলোকে বাজারে পাঠানো এবং তা বিক্রি করতে হয় তাদের । একাজে তেমন লাভ না থাকলেও এক প্রকার বাধ্য হয়েই জাতিগত পেশার কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের । গৃহে গৃহে লক্ষীলাভের আশায় গৃহস্থরা আসনে লক্ষীর সরা পেতে পুজো দেন, হয়তোবা লক্ষীদেবীর কৃপালাভও হয় তাদের, কিন্তু যাদের হাতের তৈরি এই দেবীর মূর্তি তাদের কতটা লক্ষীলাভ হয় সেটাই উঠেছে প্রশ্নের মুখে।

error: Content is protected !!