জাতীয় ঐক্যের দাবি-লক্ষ্য ‘প্রায়’ চূড়ান্ত, ঘোষনা শ্রীঘই

সাইফুল ইসলাম (ঢাকা)  জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে বিএনপি-যুক্তফ্রন্ট-গণফোরামের দাবি ও লক্ষ্যের খসড়া নিয়ে এই দল ও জোটের নেতারা শুক্রবার এক বৈঠকে করেন। শনিবার দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তফ্রন্টের শরিক দল নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

সম্প্রতি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাসায় এই দলগুলোর নেতাদের বৈঠকে ৫ দফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয় বলে সে সময় জানানো হয় । ওই দাবির মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করতে আন্দোলন করার ব্যাপারে আলোচনা হয়।

ওই দলগুলোর ৫ দফা দাবি ছাড়াও সরকার গঠন করলে তারা কী করবেন সেই লক্ষ্যও ছিল। ভিন্ন ভিন্ন দলের সেই লক্ষ্য গুলোকে এক করার কাজ চলছে এখন। এ ছাড়া একই সঙ্গে তাঁদের দাবির ব্যাপারে আগে আলোচনা হওয়া বিষয়গুলোও চূড়ান্ত হবে শনিবার। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রবের বাসভবনে বৈঠকে বসেন বিএনপি, রাজনৈতিক জোট যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের নেতারা।

বৈঠক শেষে নাগরিক ঐক্যের নেতা মান্না সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একটি খসড়াও করা হয়েছে। শনিবার তা চূড়ান্ত হবে এবং ওইদিন তা প্রকাশ করা হতে পারে। বৈঠকে আর কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই ব্যাপারে বেশি কিছু জানাতে চাননি তিনি।

 বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জাহিদুর রহমান, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার রাতে এই বৈঠকটি হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়। এর আগে ৭ ও ৮ অক্টোবর এই দলগুলোর নেতারা খন্দকার মোশাররফ ও আসম রবের বাসভবনে দুটি বৈঠক করেন। এই ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের সর্বশেষ বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়া ঘোষিত ৯ দফা লক্ষ্য এবং বিএনপির ১২ দফা লক্ষ্যের মধ্যে মৌলিক ব্যবধান কী, তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ হয়। পরে ৯ ও ১২ দফার লক্ষ্য সমন্বয় করতে জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহম শফিউল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা এর খসড়া তৈরি করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেনকে দেবেন। বৈঠকে জানানো হয় সেই খসড়া নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
পৃথক ভাবে এই দল ও জোট তাদের লক্ষ্য প্রকাশ করে। এর মধ্যে আলোচনা ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা, দুর্নীতি দমন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রভৃতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here