কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা সভাপতি পদ খোয়ালেন সাংসদ

হক জাফর ইমাম(মালদা) কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশে জেলা সভাপতি পদ খোয়ালেন দক্ষিণ মালদার সংসদ আবু হাশেম খান চৌধুরী।কংগ্রেসের হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তে জোর ধাক্কা খেলো মালদার কোতুয়ালি ভবন। গত তিনদিন আগে প্রদেশ কংগ্রেস এবং জেলা কংগ্রেসে সম্মতিতে মালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন প্রয়াত গনি খান চৌধুরীর ভাই তথা দক্ষিণ মালদার সংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। তবে তিনদিনের মধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ডের নির্দেশে দক্ষিণ মালদার সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীমালদা জেলা কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে নতুন মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে হরিশচন্দ্রপুরের বিধায়ক মুস্তাক আলম কে দায়িত্বভার দেয়। কংগ্রেস হাইকমান্ডের এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করছেন উত্তর মালদার সংসদ মৌসম বেনজির নূর দল ত্যাগ এবং কংগ্রেসের সমালোচনার জন্যই কোতোয়ালি ভবনের উপর আস্থা হারিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। অন্যদিকে কংগ্রেসের একাংশ মনে করছেন মৌসুম দল ছাড়ার দিনিই দক্ষিণ মালদার সংসদ আবু হোসেম খান চৌধুরী তোর মালদার জন্য তার ছেলে সুজাপুর বিধানসভার গায়ক ঈশা খান চৌধুরীর নাম ঘোষণা করতেই আবু হাসেম খান চৌধুরী কে মালদা জেলা কংগ্রেস সভাপতি পথ থেকে সরিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।কারণ এই মুহূর্তে ব্রাজ্জের যে পরিস্থিতি তাতে কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে।বিভিন্ন সময় সর্বভারতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কংগ্রেস হাইকমান্ড চাইছে না উত্তর মালদা কেন্দ্রে কোতুয়ালি ভবনের দুই প্রার্থী মুখোমুখি লড়াই হোক।কংগ্রেস প্রার্থী কোতুয়ালি ভবন থেকে দাঁড়ালে মৌসাম নুর তৃণমূলের টিকিটে জিতে সংসদে পৌঁছানোর রাস্তা টা যে খুব কঠিন হবে তা ও সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না জেলা কংগ্রেসের কর্মীরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here