ডাকবার্তা ডেস্কঃ আর মাত্র কয়েকঘন্টার অপেক্ষা। রাত পোহালেই দশমী। আবার অপেক্ষা সেই একটা বছরের। মন না চাইলেও বিদায় জানাতে হবে মা কে। চার সন্তানকে নিয়ে মা পারি দেবেন কৈলাসে। তাই কিছুটা হলেও যেন মন খারাপ বাঙালীর। তাই নবমীর রাতে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে রাজধানীর রাজপথে নেমেছে মানুষের ঢল । ভারতরত্ন, নেতাজী প্লে সেন্টার থেকে শুরু করে যুব সমাজ, চিত্তরঞ্জন সহ শহরের পুজো মন্ডপ গুলিতে তিল ধারনের জায়গা নেই। ঠাকুর দেখার পাশাপাশি রয়েছে খাওয়া সঙ্গে দেদার আড্ড। সিটি সেন্টার হোক বা স্বামীবিবেকানন্দ ময়দান সর্বত্রই ভিড় যুবক-যুবতীদের। কেউ এসেছেন নিজের প্রিয় জনের সাথে,কেউ বা এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে। একটুকরো ম্যাডস্ক স্কোয়ার যেন উঠে এসেছে সিটি সেন্টার ও স্বামীবিবেকানন্দ ময়দানে।
পিছিয়ে নেই নেতাজী প্লে সেন্টারও সেখানে পুজো উপলক্ষে বসেছে আনন্দ মেলা। সেই মেলায় ভিড় জমিয়েছেন আট থেকে আশি সকলে। স্বামী বিবেকানন্দতেও দেখা গেছে সেই একই চিত্র। মেলায় কচিকাঁচাদের পাশাপাশি রয়েছে বড়রাও। পুজো দেখার পাশাপাশি চলছে দেদার খাওয়া দাওয়া। ফুচকা থেকে শুরু করে সমস্ত ধনের স্ত্রিটফুড হোক বা শহরের নামীদামী রেস্তোয়ায় ডিনার সব কিছুই চলছে একসাথে। বাদ নেই আইসক্রিম কোল্ডড্রিংক্সও। রাত যত বাড়ছে শহরের রাজপথে তত ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের।
ভিড় উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আটোসাটো করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে নো- এন্টি করে দেওয়া হয়েছে। বসানো হয়েছে সিসিটিভি। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। বিভিন্ন পূজা মন্ডপের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের। মানুষের মনের মধ্যে আনন্দের রেশ থাকলেও কোথাও যেন মনের মধ্যে একটু হলেও বিষাদের সুর বাজছে। না চাইলেও ছেড়ে দিতে হবে মা কে। রাত পোহালেই ঢাকের বোলে আওয়াজ উঠবে “ঠাকুর থাকবে কতক্ষন, ঠাকুর যাবে বিসর্জন”।
ছবিঃ অর্পণ দে ও বাপন সাহা